October 6, 2024, 1:29 pm

সংবাদ শিরোনাম
স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি ভোলা বোরহানউদ্দিনে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকগণের ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের লক্ষে বগুড়ায় বিএনপির মতবিনিময় সভা! লক্ষ্মীপুরে কুমিরের আতঙ্কে এলাকাবাসী সাংবাদিক পুত্র আবির হোসেন অনন্ত’র জন্মদিন আজ বিল্লাল হুসাইন

শাশুড়িকে ৬ টুকরো করে মাটিচাপা, আটক পুত্রবধূ

ডিটেকটিভ ডেস্কঃঃ

কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলাতে উমখালীর মিঠাছড়ি হাজির পাড়ায় শাশুড়িকে হত্যার পর বাড়ির আঙিনায় মাটিচাপা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। নিহতের নাম মমতাজ বেগম (৬০)। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের পুত্রবধূকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত মমতাজ বেগম (৬০) রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের উমখালী হাজিপাড়া মৃত গোলাম কবিরের স্ত্রী। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক রাশেদা বেগম (২২) নিহতের ছেলে মোহাম্মদ আলমগীরের স্ত্রী।

রোববার (১৭ জুলাই) দুপুরে নিহতের ছেলে বাড়ির পাশে টিউবওয়েলে গেলে পাশে নতুন খোঁড়া মাটি দেখতে পায়। সেই সঙ্গে অল্প মাটি খুঁড়েই তার মায়ের শাড়ি দেখে স্থানীয়দের জানায়। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে রামু থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটিচাপা অবস্থায় নিহত মমতাজ বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে।

 
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল হোসাইন জানান, রোববার সন্ধ্যায় রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের উমখালী হাজিপাড়া থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। 
 

স্থানীয়দের বরাতে আনোয়ারুল বলেন, শাশুড়ি মমতাজ বেগমের সঙ্গে পুত্রবধূ রাশেদা বেগমের দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া লেগেই থাকত। মমতাজ বেগমের ছেলে মোহাম্মদ আলমগীর কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোন এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে চাকরি করেন। গত বুধবার বিকেলে আলমগীর চাকরিতে যান। তিনি রাতে বাড়িতে ফিরেননি।
 
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে মমতাজ বেগমের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ-খবর নিলেও তার সন্ধান পাননি। এ ব্যাপারে তারা বিষয়টি মোবাইল ফোনে মোহাম্মদ আলমগীরকে অবহিত করেন।
 
 
ওসি বলেন, রোববার সকালে চাকরি থেকে ফিরে মোহাম্মদ আলমগীরও বিভিন্ন স্থানে মায়ের খোঁজ নিয়ে মায়ের সন্ধান পাননি। এক পর্যায়ে তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদে কথাবার্তায় অসংলগ্নতা পেলে সন্দেহ জাগে। এরপর তিনি বসতভিটার বিভিন্ন জায়গায় সন্ধান করতে থাকেন।
 
এক পর্যায়ে বাড়ির নলকূপের পাশে নতুন খনন করা মাটির স্তূপে রক্তের দাগ দেখতে পান। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মাটি খুঁড়ে মমতাজ বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, শনিবার সন্ধ্যার পর পুত্রবধূ রাশেদা বেগম শাশুড়িকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
 
নিহতের ছেলে মোহাম্মদ আলমগীর জানান, মৃতদেহটি মাথা, দুই হাত ও দুই পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পাওয়া গেছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুত্রবধূ রাশেদা বেগমকে পুলিশ আটক করেছে।
 
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।

//ইয়াসিন//

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর